আমি মোঃ আসাদুজ্জামান পলাশ টাঙ্গাইলের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ বিন্দুবাসিনী সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এস,এস,সি পাশ করি ২০০১ইং সালে এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) এ বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করার মাধ্যমে শিক্ষা জীবনের ইতি টেনে বাংলাদেশের স্বনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি শুরু করি ২০০৭ইং সালে। অনেকেই প্রশ্ন করেন যে, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পরেও কেন চিকিৎসা লাইনে আসলেন। এখানে সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্ট করব ইনশাআল্লাহ। ২০১১ইং সালে আল্লাহর অশেষ দয়ায় দীনের পথে ফিরে আসি এবং তথাকথিত আধুনিক লেবাস ত্যাগ করে সুন্নতী লেবাস ও জীবন যাপনে অভ্যস্ত হই। আমি  ২০১৮ইং সালে প্রথম জানতে পারি যে, হিজামা একটি মৃত প্রায় সুন্নাহ, তখন কোন মৃত সুন্নাহ জিন্দা করার ফযিলত সম্পর্কিত হাদিসটি আমাকে প্রচন্ড নাড়া দেয়।

হযরত আনাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ

“যে আমার কোন সুন্নাত জিন্দা করল সে যেন আমাকে জিন্দা করল, আর যে আমাকে জিন্দা করল সে আমার সাথে জান্নাতে যাবে।” (তিরমিজীঃ ২খ.-৯৬ পৃ.)

ফলে তখনই সিদ্ধান্ত নিই, এই বিষয়ে পড়াশুনা করে কাজ করার, কারণ ইঞ্জিনিয়ারিং তো অনেক করলাম এর পরকালীন কোন ফজিলত নাই, পক্ষান্তরে হিজামা নিয়ে কাজ করলে ইহকাল ও পরকাল উভয়কালীন ফায়দা পাওয়া যাবে। শুরু হল চিকিৎসা বিষয়ে পড়াশুনা, দেশে ইউনানী-আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের থেকে হিজামার প্র্যাকটিক্যাল শিক্ষা লাভের পর তাত্তি¡ক বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান অর্জনের উদ্দেশ্যে হিজামার উপরে হায়ার ডিপ্লোমা কোর্সের এডমিশন নিলাম, লন্ডনের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান হিজামা নেশন একাডেমিতে (Hijama Nation Academy, UK), শেষ করি ২০২০ইং সালে, একই বছর Hijama Nation Association, UK এর  সদস্যপদ লাভ করি। হিজামা বা রক্তমোক্ষণ বিষয়ে আমাদের দেশে ইউনানী-আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা কারিকুলামে পড়ানো হয়, তাই এ বিষয়ে অধিকতর জ্ঞান লাভের জন্য ২০১৯ইং সালে Diploma-in-Unani Medecine & Surgery (DUMS) ৪ বছরের কোর্সের জন্য এডমিশন নিই মোমেনশাহী ইউনানী মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহে, এছাড়াও হিজামা নিয়ে অধ্যয়ন ও গবেষণা করছি প্রতিনিয়তই এবং  স্বাস্থ্যসম্মত হিজামা সেবা সকলের মাঝে পৌঁছিয়ে দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠা করি টাঙ্গাইল হিজামা সেন্টার, যা টাঙ্গাইল শহরের প্রথম আধুনিক ও পূর্ণাঙ্গ হিজামা সেন্টার।

বহু প্রাচীন কাল থেকেই আমাদের দেশে শিঙ্গার প্রচলন থাকলেও, এটিই যে আমাদের মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ ও নিরাপদ চিকিৎসা ব্যবস্থা তা আমরা অনেকেই জানিনা। নিরাপদ চিকিৎসা হিসাবে বিশ্বব্যপি সর্ব স্তরের মানুষের মাঝে এই হিজামা/কাপিং থেরাপি গ্রহনের পরিমান দিন দিন বেড়েই চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে প্রতিনিয়তই। আল্লাহতায়ালা আমাদের দেহের মধ্যে অটো সুরক্ষা ব্যবস্থা সেট করে দিয়েছেন, যার মাধ্যমে আমরা অসুস্থ হলেও অটোমেটিক্যালি সুস্থ হতে পারি, এই অটো সুরক্ষা ব্যবস্থাকে ইমিউনিটি বলে। হিজামা মূলত দেহের ইমিউনিটি বা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে। আমাদের দেশে হিজামা ব্যথা নিরাময়ের নিরাপদ মাধ্যম হিসাবেই বেশি জনপ্রিয়, সঠিক উপায়ে হিজামা চিকিৎসা দেওয়া হলে, মানবদেহের সকল রোগের চিকিৎসাই এর মাধ্যমে করা সম্ভব, যা বিভিন্ন সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। হিজামা এমন একটি নিরাপদ চিকিৎসা যার মাধ্যমে দেহ-মন ও আত্মার চিকিৎসা সম্ভব, ইংরেজীতে একটি কথা আছেঃ-

“Hijama” treat the whole-

Body-mind and Soul.

এছাড়াও সহিহ হাদিসে পাওয়া যায় , 

”আপনার উম্মতকে হিজামার আদেশ দিন” সহীহ তিরমিজি-২০৫২,  ইবনে মাজাহ -৩৪৭৯

“নিশ্চয়ই হিজামায় সুস্থতা আছে” সহীহ বুখারী-৫৬৯৭

টাঙ্গাইল হিজামা সেন্টারের বৈশিষ্ট্য

১)   Hijama Nation Academy UK  থেকে হিজামার উপর উচ্চতর ডিগ্রিধারী থেরাপিষ্টের তত্ত¡াবধানে থেরাপি প্রদান।

২)   Hijama Nation Association UK  এর রেজিষ্টার্ড সদস্য।

৩)   সর্বোচ্চ হাইজিন (স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি) অনুসরন,

৪)   মহিলাদের জন্য শরিয়াহ পর্দা সহকারে অভিজ্ঞ মহিলা থেরাপিষ্টের ব্যবস্থা।

৫)   টাঙ্গাইল শহরে প্রথম ও পূর্ণাঙ্গ হিজামা থেরাপি সেন্টার, উন্নত ও মনোরম পরিবেশ।

৬)   সর্বাধুনিক ও উন্নত যন্ত্রপাতির ব্যবহার।

৭)   তিনটি ব্যবস্থার সমন্বয়ে (ভেষজ/হারবাল, ইলেকট্রিক ও হিজামা) চিকিৎসা সেবা প্রদান।

৮)   কম খরচে উন্নত ও আন্তরিক সেবা ।

মোঃ আসাদুজ্জামান পলাশ

BSc. EEE, IUBAT, Dhaka

CHP(সার্টিফাইড হিজামা প্র্যাকটিশনার), HNA, UK.

হায়ার ডিপ্লোমা ইন হিজামা কাপিং থেরাপি, হিজামা নেশন একাডেমি, লন্ডন

রেজিষ্টার্ড সদস্য, হিজামা নেশন এ্যাসোসিয়েশন, লন্ডন

Diploma-in-Unani Medicine & Surgery (DUMS).

মোমেনশাহী ইউনানী মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ।